ফ্রান্স ও ব্রিটেন ইউক্রেনে এক মাসের আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবে ইউক্রেনের আকাশ ও সমুদ্রপথে আক্রমণ বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন লন্ডনে ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন।
প্রধান প্রস্তাব ও বৈঠকের ফলাফল
ফ্রান্স ও ব্রিটেনের প্রস্তাব অনুযায়ী, ইউক্রেনে আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এ সময় আকাশ ও সমুদ্রপথে আক্রমণ বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় নেতারা কিয়েভের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও, যুদ্ধবিরতি রক্ষায় একটি জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ম্যাকরনের বক্তব্য
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন বলেন, রাশিয়া তাদের জিডিপির ১০ শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করছে, তাই ইউরোপকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি ইউক্রেন সংকট সমাধানে ইউরোপীয় দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার ওপর জোর দেন।
যুক্তরাজ্যের ভূমিকা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও অন্যান্য দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে মিলে যুদ্ধবিরতির একটি পরিকল্পনা তৈরি করবে, যা পরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পেশ করা হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চিত সমর্থনের কারণে ইউরোপকেই এই সংকট মোকাবিলার দায়িত্ব নিতে হবে।
পটভূমি
এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেছেন। রাশিয়ার তিন বছরব্যাপী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন লড়াই করছে এবং আন্তর্জাতিক সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল।
শেষ কথা
ফ্রান্স ও ব্রিটেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ইউক্রেন সংকট সমাধানে একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত ভূমিকা অপরিহার্য।
Social Plugin