আকাশপথের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে গ্রুপ টিকিট কেনাবেচার কারণে বাংলাদেশ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কেন বাড়ছে টিকিটের দাম?
ফ্লাইট সংকট: বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো ডলার সংকটের কারণে ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে।
উচ্চ কর: বাংলাদেশে বিমান অবতরণ, পার্কিং ও নিরাপত্তা চার্জের হার প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
জ্বালানির ব্যয়: ঢাকায় প্রতি লিটার এভিয়েশন ফুয়েলের মূল্য কুয়ালালামপুরের তুলনায় বেশি।
ডলার সংকট: এয়ারলাইন্সগুলোর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ দেশের ব্যাংকে আটকে থাকায় তারা টিকিটের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গ্রুপ টিকিট ও অর্থপাচারের অভিযোগ
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক পরিপত্র অনুসারে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট ইস্যুর বাধ্যবাধকতা থাকায় স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলো গ্রুপ টিকিটের জন্য বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সির দ্বারস্থ হচ্ছে। এতে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে।
এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতিক্রিয়া
ফ্লাইট কাটছাঁট করেছে: টার্কিশ এয়ারলাইন্স (১৪ থেকে ৭), সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স (১০ থেকে ৭), ফ্লাই দুবাই (১৭টি ফ্লাইট কমিয়েছে), মালিন্দো ও ক্যাথে প্যাসেফিক (৫ থেকে ১)।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট স্থগিতের পরিকল্পনা করছে।
মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্স সংগঠনের অবস্থান
বোর্ড অব এয়ারলাইন রিপ্রেজেন্টেটিভস বাংলাদেশ (বার) পরিপত্রটি সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।
তারা দাবি করেছে, ৭২ ঘণ্টার শর্ত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল আইনের পরিপন্থি এবং এটি টিকিটের মূল্যে অস্থিরতা তৈরি করছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
মন্ত্রণালয় পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন যুগ্মসচিব অনুপ কুমার তালুকদার।
সংক্ষেপ: ফ্লাইট সংকট, উচ্চ কর, ডলার জটিলতা এবং বিতর্কিত পরিপত্রের কারণে আকাশপথের টিকিটের দাম বাড়ছে। এর ফলে ৪০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
Social Plugin