গাজায় ইসরায়েলের হা-ম-লা অব্যাহত, নি-হ-ত বেড়ে ২৩২।




গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে পবিত্র রমজানে চলমান এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।  


গাজার উত্তরাঞ্চল, গাজা সিটি, দেইর আল বালাহ, খান ইউনিস ও জাবালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় আবাসিক ভবন, স্কুল ও শরণার্থী শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামাসের দাবি, ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে, যা গাজায় আটকে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।  


ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তারা জানান, হামাসের মাঝারি পর্যায়ের কমান্ডার ও অবকাঠামো ধ্বংস করাই এই হামলার লক্ষ্য। তারা বলেছেন, প্রয়োজন হলে হামলা আরও বাড়ানো হবে।  


হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানান, গাজায় হামলা শুরুর আগে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। ট্রাম্প হামাস, হুথি ও ইরানসহ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।  


২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং লাখেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ ও শরণার্থী শিবিরসহ হাজার হাজার স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। লাখ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।  


গাজায় চলমান এই সংঘাত ও মানবিক বিপর্যয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।