বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ফারুকী কোনো রকম কাগজপত্র ছাড়াই শিল্পকলা একাডেমি থেকে টাকা চেয়েছিলেন, যা তিনি মেটাতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় গত শুক্রবার নাট্যোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
মহাপরিচালকের অভিযোগ
সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, উপদেষ্টা ফারুকী তাঁকে চেক চেয়েছিলেন কোনো লিখিত চিঠি ছাড়াই। তিনি এ ধরনের অনৈতিক আবদার মেটাতে অস্বীকার করেন এবং শিল্পকলা একাডেমির স্বায়ত্তশাসন রক্ষার জন্য চারটি শর্ত দেন। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ বন্ধ, শিল্পকলাকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে দেওয়া এবং ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি উল্লেখযোগ্য।
উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া
উপদেষ্টা ফারুকী সৈয়দ জামিলের অভিযোগকে "ডাহা মিথ্যা" বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেন, জামিল আহমেদের অনেক বক্তব্য পরিস্থিতি ডিল না করতে পারার হতাশা থেকে উত্থাপিত। ফারুকী আরও বলেন, শিল্পকলা একাডেমি পরিচালনায় জামিলের ম্যানেজারিয়াল দক্ষতার অভাব ছিল।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিক্রিয়া
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা এ ঘটনাকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজিদ বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানো উচিত। নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, শিল্পকলার জন্য যা ভালো হবে, তা সমর্থন করবেন।
আগামী পদক্ষেপ
শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন বলেন, পদত্যাগপত্র এখনও মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি। আজ রোববার উপদেষ্টা ফারুকী ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও পরিচালকদের সভা হবে। আগামী আট দিন পর্যন্ত একাডেমির স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে বলে জানানো হয়েছে।
শেষ কথা
এ ঘটনা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে। উপদেষ্টা ফারুকী ও সৈয়দ জামিল আহমেদের মধ্যকার এই সংঘাত শিল্পকলা একাডেমির ভবিষ্যৎ কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Social Plugin