পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামানের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ
জামায়াত নেতারা ইউএনওর সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিএনপির ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী ইউএনওর কক্ষে ঢুকে জামায়াত নেতাদের কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফারুক-ই আজম, সেক্রেটারি টুটুল বিশ্বাস, ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস ও মোস্তাক আহমেদ। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, সুজানগরে কিছুদিন আগে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িতরা একই গোষ্ঠীর সদস্য। তারা ইউএনওকে হুমকিও দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জামায়াতের প্রতিবাদ
ঘটনার পর জামায়াতের উপজেলা আমির কেএম হেসাব উদ্দিনসহ কয়েকশ নেতাকর্মী ইউএনও অফিসে প্রতিবাদ জানান। তারা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করায় বিএনপি নেতাদের ক্ষোভের কারণ বলে দাবি করেন।
পুলিশ ও ইউএনওর বক্তব্য
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, আহতরা মামলা করতে এলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান ঘটনাটিকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার কথা জানান।
বিএনপির অবস্থান
সুজানগর বিএনপির নেতারা ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
এই ঘটনায় উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
Social Plugin