প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বক্তব্য দেওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন দলের অবস্থানে জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ইউনূস বলেছেন, সরকার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা করছে না। তবে যেসব নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিচার চলবে। তিনি আরও জানান, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের কিছু নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি): আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না।
বিএনপি ও জামায়াত: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার পক্ষে সরাসরি অবস্থান না নিয়ে কৌশলী বক্তব্য দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চায় না বলে জানিয়েছে।
বিক্ষোভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিরোধী। এই অবস্থান বিএনপি ও জামায়াতের মতো দলগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করে রাজনৈতিক মেরুকরণ বজায় রাখতে চাইছে। তবে এই সিদ্ধান্ত দেশে স্থিতিশীলতা আনবে নাকি নতুন সংঘাত তৈরি করবে, তা নির্ভর করছে আগামী কয়েক মাসের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।
এই বিতর্ক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Social Plugin