কারাবন্দি কুর্দি বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওজালান কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং কুর্দি বাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তার এই বার্তা প্রকাশ করা হয়। ওজালান দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে আসছিলেন।
ওজালানের কারাবাস ও শান্তি আলোচনার ইতিহাস
১৯৯৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে ওজালান কারাগার থেকেই পিকেকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০১৩ সালে তুরস্ক ও পিকেকের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছিল, কিন্তু ২০১৫ সালে তা ভেস্তে যায়। এবার তার আহ্বানে নতুন করে শান্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
চার দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান?
১৯৮০-এর দশক থেকে চলা কুর্দি-তুর্কি সংঘাতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কুর্দিদের রাজনৈতিক সমর্থন পেতে আগ্রহী, যা তাকে ২০২৮ সালে ক্ষমতায় ফিরতে সাহায্য করতে পারে।
চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
এই শান্তি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতিক্রিয়া। সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) কমান্ডার মাজলুম আবদি বলেছেন, ওজালানের নির্দেশ শুধু পিকেকের জন্য প্রযোজ্য। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত তুরস্কের জন্য কুর্দি সংকট সমাধানের একটি বড় সুযোগ হতে পারে।
শেষ কথা
ওজালানের এই আহ্বান কুর্দি-তুর্কি সংঘাতের অবসানের নতুন আশা জাগিয়েছে। তবে প্রক্রিয়াটি এখনও নাজুক এবং এর সফলতা নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর।
Social Plugin