গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, যা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে সহায়ক হতে পারে। স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়, যা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
### যুদ্ধবিরতির পটভূমি
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় সংঘাত শুরু হয়। হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, যার ফলে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
### যুদ্ধবিরতির কার্যকর হওয়া
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে, হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের তালিকা পাঠাতে বিলম্ব হওয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেন। তবে পরে তিন ঘণ্টা পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। মধ্যস্থতাকারী কাতার এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
### মানবিক সংকট
গাজার অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৬৯ শতাংশ ভবন এবং ৬৮ শতাংশ রাস্তা ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজার ৫০ শতাংশ হাসপাতাল এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
### ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ফলে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে, তবে গাজার পুনর্গঠন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে যাবে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজা পুনর্গঠনে ৪০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে।
Social Plugin